বন্দর নগরী চট্টগ্রামে লালদীঘির পাড় এলাকা হতে চেক প্রতারনা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে ১৭ ই জুলাই ২০২২ রবিবার বেলা ১২:১৫ মিনিটের সময় লাল দিঘীরপাড় পুরাতন গির্জা হোটেল রহমানিয়ার সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

একাধিক চেক প্রতারনা মামলার আসামি ইলিয়াস কে। নগরীর কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়,২লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক প্রতারণা মামলায় চট্টগ্রাম চন্দনাইশ থানাধীন মুন্সিবাড়ি, জাফরাবাদ ইউনিয়নের ইলিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (৬০) কে গ্রেফতার করেছে কতোয়ালী থানার এ এস আই জিয়াউর রহমান।

ইলিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মৃত লালু মিয়ার ছেলে। ২০১৯ সালে অধীন বাদী আনোয়ার হোসেন ও আসামী ইলিয়াস উদ্দিনের মধ্যে ব্যবসায়িক সূত্রে পরিচয় হওয়ার পরবর্তীতে একজন অন্যজনের ঘনিষ্ট ভাজন ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। যাহার ফলে উভয়ের যৌথ উদ্যেগে ব্যবসা করার জন্য পরিকল্পাবদ্ধ হন।

বাদী ও আসামীর মধ্যে সুসম্পর্কের প্রেক্ষিতে গত ৩০/১১/২০১৯ইং তারিখে আসামীর প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলিয়াস কর্পোরেশন এর পক্ষ হয়ে বাদীর সহিত মাটি কাটার এস্কেভেটর গাড়ির জন্য মাসিক ভাড়ানামা চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়। উক্ত চুক্তিপত্রের শর্ত অনুযায়ী আসামি বাদীকে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড চকবাজার শাখা আসামির নামীয় যার হিসাব নং ১৩৯১০২০০০০৭০৪ এর অনুকূলে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার চেক ২৬/১০/২০২১ইং তারিখ বাদীকে প্রদান করেন।

উক্ত চেকটি বাদী নগদায়নের উদ্দেশ্য গত ১৬/০১/২০২২ইং তারিখ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে উপস্থাপন করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত চেকটি অপর্যাপ্ত তহবিল উল্লেখে ফেরত প্রদান করেন। তৎ পরবর্তীতে বাদী গত ২৭/০১/২০২২ইং তারিখ আইনজীবীর মাধ্যমে উকিল নোটিশ প্রেরণ করেন।আসামি টাকার বিষয়ে অস্বীকার করেন এবং আরো নানা ধরনের গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন।

এমতাবস্থায় মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ৬/৭ টি বিভিন্ন রকমের প্রতারণার মামলা রয়েছে এবং সেই সব সময় মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে থাকে । ইলিয়াস উদ্দীনের কাছে একটি দোনালা বন্দুক থাকায় কথায় কথায় যে কাউকে গুলি করার হুমকি দেয়। তাই এলাকার লোকজন ইলিয়াস উদ্দিন হতে দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করে বলে জানান।

আসামি ইলিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতারের বিষয় জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত মোঃ আতিক বলেন আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি এখন বাকি সিদ্ধান্ত আদালতের আমরা তাকে কোর্টে চালান করে দিয়েছি।